শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে খুব শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার চাহিদা মতো ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করেছে। আগামী মাস থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। এটা শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তিনি আরও বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, এটা সত্য। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী মাসের শুরু থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হবে। এবার ৫৩ লাখ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শুরু হলে দ্রুতই সুফল মিলবে।

চালের বাজারে মূল্য কমছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি খাদ্য মজুতের বর্তমান স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তবে শিগগির চালের বাজার সহনীয় হয়ে উঠবে। তবে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এমনভাবে দাম কমানো যাবে না যাতে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এরই মধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধানচাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Sabbir Hossain

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *